চকরিয়ায় সরকারি প্রকল্পের মাটি নিয়ে ভরাট করলো ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত খামার

মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া (কক্সবাজার)
চকরিয়ায় সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়ে মাটি কেটে ভরাট করেছেন স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত খামার। উপজেলার লক্ষ্যাচর ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছারে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্যারচর ও কাকারা ইউনিয়নের আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ লাগবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বিশেষ বরাদ্দের আওতায় কাকারা ইউনিয়নের বাইশ্যারছড়া নামক ছড়াখালটি খননের উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে বিপুল টাকা বরাদ্দে ছড়াখালটি খনন করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও সাধারণ কৃষকরা জানান, ছড়াখালটি খননের পর উত্তোলনকৃত মাটিসমুহ খালের দুই তীরে মজুদ রাখা হয়। যাতে ছড়াখাল হয়ে বর্ষাকালে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি অনায়সে নীচে নেমে যেতে পারে। খাল খননের কারণে আশপাশ এলাকার কৃষকরা যথারীতি সুফলও ভোগ করতে শুরু করেছে।

তবে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সম্প্রতি সময়ে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার সরকারি টাকা বরাদ্দে খনন করা ছড়াখালের (চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের উত্তর অংশের) উত্তোলনকৃত মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে তাঁর খামার ভরাটের জন্য নিয়ে গেছে। এ অবস্থার কারণে বর্ষাকালে ছড়াখালের পানি আশপাশের লোকালয় ও আবাদি জমি উপড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ও পরিবেশ সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম বলেন,সরকারি টাকা বরাদ্দে এলাকার কৃষক ও জনগনের দুর্ভোগ লাগবে ছড়াখালটি খনন করা হয়েছে। উত্তোলনকৃত মাটি খালের দুই তীরে মজুদ রাখা হলেও লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর খামার ভরাটের জন্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছড়াখালের তীর থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে।

তিনি অভিযোগ করেছেন, এভাবে ছড়াখালের তীর থেকে মজুদ মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে চলতি বর্ষাকালে ছড়াখালের পানি আবাদি জমি উপড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পান্তিক কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের পাশাপাশি ও চাষাবাদ নিয়ে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। বিষয়টির আলোকে প্রশাসনের তদন্ত হওয়া দরকার।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বিষয়টি সত্য নয় বলে উড়িয়ে দেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকারি টাকা বরাদ্দে খনন করা ছড়াখালের মাটি ইউপি চেয়ারম্যানের খামার ভরাটের জন্য নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##